সম্পর্ক অদ্ভুত একটা জিনিস।যেটা না দেখা যায় না পরিমাপ করা যায়।

পৃথিবীতে তো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর জিনিস দেখার জন্য অনেক অনেক শক্তিশালী অণুবীক্ষণ যন্ত্র রয়েছে কিন্তু সম্পর্ককে দেখার জন্য কোন কিছুরই আবিষ্কার হয়েছে বলে আমার জানা নেই। কারণ সম্পর্ক তো কোন যান্ত্রিক কিংবা বস্তু না যেটা দেখা বা পরিমাপ করা সম্ভব। সম্পর্ক তো মনের এক অনুভূতির নাম। যেটা শুধু অনুভব করা যায়। যা আমাদের সকালের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।

সম্পর্ক বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। তবে সব সম্পর্কের আধার যুক্তিগত দিক দিয়ে বিচার করলে কিন্তু প্রত্যাশা। সেটা আপনি কারো সাথে সম্পর্ক করেন কিংবা অন্য কেও আপনার সাথে সম্পর্ক করে প্রত্যাশাটা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কথাটা কেমন তেঁতো শোনালো তাই না? চলুন উদাহরণ দিয়ে বোঝার চেষ্টা করিঃ-

আমরা সবাই জানি পৃথিবীতে সব থেকে প্রিয় মানুষ বাবা-মা। কিন্তু এই সম্পর্কের মাঝেও কিন্তু প্রত্যাশা লুকিয়ে আছে। আপনার আমার সবার বাবা-মা কিন্তু একটা প্রত্যাশা নিয়ে আপনাকে আমাকে বড় করে তুলেছে বা তুলছেন।

আবার ধরুন আপনি কাওকে ভালোবাসেন। এখন আপনি আপনার সেই পছন্দের মানুষটির জন্য সব করতে পারেন,সেও আপনার জন্য সব করতে পারে। কিন্তু আপনি কি কখন চিন্তা করেছেন তার কিংবা আপনার ভালো থাকার জন্য একে অপরকে দরকার। সে যেমন ভালো থাকার প্রত্যাশা নিয়ে আপনার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আপনিও ঠিক তেমনই ভালো থাকার প্রত্যাশা নিয়ে তার হাত ধরেছেন। তার মানে এখানে প্রত্যাশা বিদ্যমান।

আবার আপনি পড়াশোনা করছেন।স্কুল,কলেজে যাচ্ছেন। সেখানেও কিন্তু প্রত্যাশা বিদ্যমান। কারণ আমাদের দেশে পড়াশোনা করা হয় চাকুরী করার জন্য যে যত বেশি পড়াশোনা করবে সে ততো ভালো চাকুরী করতে পারবে।

এমন অনেক হাজারো উদাহরণ রয়েছে যেখানে যুক্তি দিয়ে খুজলে আপনি অবশ্যই প্রত্যাশা পাবেন।

তবে এই সব সম্পর্কে ফাটল ধরে তৃতীয় কোন ব্যক্তির বা বস্তুর জন্য। যখনই আপনার বা তার কাছে আপনার থেকে কিংবা তার থেকে ঐ তৃতীয় ব্যক্তি বা বস্তু বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়বে তখনই সেই সম্পর্কে ফাটল ধরবে।

বিঃদ্রঃ এটা নিজস্ব মতামত ছিলো। যদি কারো খারাপ লাগে থাকে তবে আন্তরিক ভাবে দুঃখীত। কারো ব্যক্তিগত চিন্তা চেতনায় আঘাত করে কিছু বলা হয়নি।