পুরো ভারতবর্ষ রহস্যে ঘেরা। হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত যে রহস্য লুকিয়ে আছে তা অবাক করার মত। আমরা আজ আমরা তেমনই কিছু রহস্যময় মন্দিরে ঘুরে আসবো র্ভাচুয়াল মাধ্যমে।
কোনারকের সূর্য মন্দির
এই মন্দিরের শিল্পনৈপুণ্য ও সৃষ্টিশীলতা নজর কাড়ে সকল দর্শনার্থীদের। এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে কলিঙ্গ রীতিতে। রথের মতো দেখতে এই মন্দিরটি টানার জন্য রয়েছে ২৪ চাকা টানার ৭ টি ঘোড়া। শোনা যায়, মন্দিরের যে অংশটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল তাতে ৫২ টনের একটি চুম্বক ছিল। যারপ্রভাবে মূল বিগ্রহটি শূন্যে থাকত। আর মন্দিরের চাকাগুলি এভাবে তৈরি যাতে সূর্যের আলোয় পড়া ছায়ার সূত্র ধরে সময় নির্ধারণ করা যায়।
বৃহদীশ্বর মন্দির (Brihadeeswara Temple)
দক্ষিণ ভারতের চোল সাম্রাজ্যের অন্যতম নিদর্শন। আয়তনে নিরিখে এটি ভারতে সপ্তম বৃহত্তম হিন্দু মন্দির। প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টন গ্রানাইট পাথর দিয়ে মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে। একটি বিশাল নন্দীর মূর্তি রয়েছে। যা একটিই গ্রানাইট পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরটির শৃঙ্গ ৬৬ মিটার উঁচু। যেখানে ৮০ টনের একটি খোদাই করা পাথর রয়েছে। হাজার বছর আগে কীভাবে ওই পাথরটি সেখানে পৌঁছনো হয়েছিল তা আজও রহস্য।
বীরভদ্র মন্দির (Veerabhadra Temple)–
বিজয়নগর শৈলির কারুকাজ করা রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এই মন্দিরে। বিশাল এই মন্দিরের সৌন্দর্য যেমন মুগ্ধ করে তেমনই আশ্চর্য করে এর রহস্য। মন্দিরে প্রায় ৭০টি স্তম্ভ রয়েছে। একটি পাশের স্তম্ভগুলি ভূমি স্পর্শ করে না। মন্দির থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে একটি নন্দীর মূর্তি আছে। একটি পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে সেটি। মন্দিরে একটি বিশাল পায়ের ছাপ রয়েছে। যা দিয়ে অনবরত জল প্রবাহিত হয়। জনশ্রুতি সেটি নাকি হনুমানের পায়ের ছাপ।
পদ্মনাভস্বামী মন্দির (Padmanabhaswamy Temple) –
বিশ্বের ধনীতম মন্দিরের তালিকায় পড়ে এই মন্দিরটি। এর ভিতরে রহস্যময় ছ’টি ভল্ট রয়েছে। ২০১১ সালে ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচটি ভল্ট খোলা হয়। প্রচুর পরিমাণে সোনা, রত্ন, প্রাচীন মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু রহস্যজনকভাবে ছয় নম্বর ভল্টটি খোলা সম্ভব হয়নি। ভল্টের দরজায় সাপের প্রতিকৃতি রয়েছে। যার মনের শক্তি সবচেয়ে বেশি এমন মানুষই নাকি গরুড় মন্ত্রের মাধ্যমে দরজাটি খুলতে পারবেন।
কৈলাস মন্দির (Kailasa Temple) –
মহারাষ্ট্রের ইলোরা গুহায় অবস্থিত এই মন্দিরটি। একটি মাত্র পাথর খোদাই করে বিশাল এই মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। শোনা যায়, মন্দিরটি তৈরি করতে ১৮ বছর লেগেছিল। এর আয়তন তাজমহলের সমান।
ফিচার ডেস্ক | বাংলাদেশদর্পণ.কম