চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে চীন। আর সেই গণহত্যায় সমর্থন জানিয়েছেন বিশ্বের ৪৫টি দেশ, যাদের বেশিরভাগই স্বৈরতান্ত্রিক। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, অনেক ইসলামিক রাষ্ট্রও চীনের এই ন্যাক্কারজনক মুসলিম নির্মূলকরণ কর্মকাণ্ডে সমর্থন জানিয়েছে।

উইঘুর-আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্ট রুশান আব্বাস বলেছেন, ‘যে ৪৫টি দেশ চীনে উইঘুরদের গণহত্যার প্রতি সমর্থন দিয়ে বিবৃতিতে সই করেছে, তাদের প্রতিটিতেই স্বৈরতান্ত্রিক শাসন চলছে।’

তিনি বলেন, ‘উইঘুরদের গণহত্যার প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিবৃতিতে সই করেছে ৪৫টি দেশ।

আমি খেয়াল করে দেখলাম, এর বেশিরভাগ দেশেই স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু রয়েছে, তথবা তাদের সহজেই কেনা যাবে এমন অবস্থানে আছে। চীনের এসব বন্ধু এতে সমর্থন দিয়ে তাদের বর্বর শাসন ব্যবস্থার কথাই প্রকাশ্যে এনেছে। ’

আফ্রিকার যেসব দেশ চীনকে সমর্থন জানিয়েছে, তাদের নেতাদের ‘আধুনিক যুগের উপনিবেশবাদ এবং দাসত্ব’ নিয়ে পুনরায় চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন আব্বাস।

আব্বাস বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোকে বলতে চাই, ঋণের ফাঁদে ফেলে যখন আপনাদের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে যাবে, তখন আপনাদের কী হবে ভেবেছেন? আপনারা কি আধুনিক যুগের উপনিবেশবাদ এবং দাসত্বের সূচনা করতে চাচ্ছেন? চীন একই পদ্ধতি ব্যবহার করে বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে এবং উইগুর, তিব্বতী, মঙ্গোলীয়, হংকংবাসী এবং আরও অনেককে মিথ্যা বলছে। ’

ইসলামিক যে দেশগুলো চীনকে সমর্থন জানিয়েছে তাদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘নিজের বিশ্বাস এবং মুসলমানদের জীবনের ওপর যারা চীনের রক্তস্নাত টাকা বেছে নিয়েছে, তাদের বলতে চাই, আপনারা কী করেছেন সে ব্যাপারে আপনারা কি সচেতন? আপনাদের সম্মানের কথা ভেবেছেন? ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে চীন। আমাদের সতর্কবার্তা মনে রাখবেন, চীন আপনাদের উপনিবেশে পরিণত করতে যাচ্ছে। ’

বিশ্ববাসীকে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান আব্বাস।

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত প্রায় এক কোটি উইঘুর ও অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘদিন যাবৎ নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে আসছে চীনা সরকার, যার মূল্য উদ্দেশ্য জাতিগত নির্মূলকরণ।