নেত্রকোনা: স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীদের ছায়া দানকারি বিভিন্ন প্রজাতির ১৩টি বৃক্ষ কাটার বিপক্ষে স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে স্থানীয় লোকজনের আপত্তির মুখে বৃহস্পতিবার এর টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনাটি জেলার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাপুর ইউনিয়নের।

জানা যায়, খলিশাপুর স্কুল এন্ড কলেজের  বহুতল ভবন নির্মাণের কারণ দেখিয়ে স্কুল প্রাঙ্গনের ভেতরের ১৩টি গাছ কাটার জন্য টেন্ডার আয়োজন করেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল হক। এ সময় স্থানীয়

লোকজন একত্রিত হয়ে স্কুলের শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশংকায় গাছকাটায় আপত্তি জানান। এতে টেন্ডার পক্রিয়ায় অংশ নিতে আসা লোকজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা তৈরী হয়। পরে খবর পেয়ে ইউএনও উম্মে কুলসুম, উক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেন।

স্থানীয় সাংবাদিক জুলফিকার শাহীন বলেন, খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে গাছগুলো কাটার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, স্কুল খোলার পরই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদিন এই মাঠে এসেম্বলি করবে। গাছগুলো কেটে ফেললে, তাদের রোদে দাঁড়িয়ে তা করতে হবে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।

লেখক গবেষক আলী আহমেদ খান আইয়োব জানান, স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করে গাছ কাটা সমীচীন নয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলের জমিদাতাদের মধ্যে একজনের বংশধর মো.সেলিম জানান,স্কুলের উন্নয়নে বহুতল ভবন নির্মাণের স্থানে থাকা গাছ কাটায় কোন আপত্তি নেই, কিন্তু এলজিইডির সড়কের পাশে বেসরকারি সংস্থার লাগানো গাছ স্কুল কর্তৃপক্ষ কিভাবে কাটতে পারে ?

অনেকেই এ ঘটনার জন্য স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল হককে দায়ী করেছেন। ইতিমধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্ত নূরুল হক জানান,যথাযথ সরকারি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সভাপতির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলের সমস্ত ব্যায়ভারও তিনিই বহন করছেন। একটি স্বার্থান্বেষী মহল স্কুলের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করতে চাইছে বলে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

নয়ন বর্মন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি