বাংলাদেশ মাইনিরিটি ওয়াচ BDMW প্রেসিডেন্ট,সিনিয়র এ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র ঘোষ এবং বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র এ্যাডঃ সুমন কুমার রায়সহ একটি মানবাধিকার টিম হামলার শিকার হয়।
ঢাকা নবাবগঞ্জ থানাধীন পাড়াগ্রাম দশরথ সরকারের পুত্র প্রদীপ কুমার সরকার(২০)কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারডাং দিয়ে ২০টি ইয়াবা টেবলেট পকেটে দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দুস্কৃতিকারীরা এবং নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা রঞ্জু করে আদালতের মাধ্যমে প্রদীপ কুমার সরকারকে জেলহাজতে পাঠায়।
উক্ত ঘটনায় দশরথ সরকারের স্ত্রী কল্পনা রানী সরকার তাদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার এবং ছেলের মিথ্যে মামলার হাত থেকে রেহাই পেতে বাংলাদেশ মাইনিরিটি ওয়াচ BDMW প্রেসিডেন্ট বরাবর আবেদনসহিদ অভিযোগ পত্র দিলে তার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ১৬ই অক্টোবর ২০ইং শুক্রবার নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ অবগত করে এ্যাডঃ রবিন্দ্র ঘোষ,এ্যাডঃ সুমন কুমার রায়সহ একটি মানবাধিকার প্রতিনিধি দল নবাবগঞ্জ থানায় গেলে অফিসার ইনচার্জ না থাকায় ডিউটি অফিসার লিয়াকত আলী ইনচার্জের সাথে আলোচনা করে পাটগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে পাঠান।
মানবাধিকার প্রতিনিধি দল পাটগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে বিকেল ৩.৪০ মিনিটের পৌঁছালে পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জাফর ও এস আই সোহাগ পরিকল্পিত ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে স্থানীয় কিছু লোকজন জর করে মানবাধিকার সম্পর্কে উল্টো বুঝিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন,তার প্রেক্ষিতে ফাঁড়িতে থাকা আওলাদ হোসেন,মোঃ সুজন,ফারুক ও আপেল দেওয়ান নেত্রীত্বে প্রায় ৩৫-৪০ জন অজ্ঞাত লোক মানবাধিকার প্রতিনিধিদের সামনে প্রকাশ্যে দশরথ সরকারের পরিবারের সকলকে হত্যা করে গুম করা হবে এমন হুমকি দিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। তাদের মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট করে তাদের শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে ব্যবহারকৃত গাড়িটি গ্লাস ভাংচুর করে।
এই ঘটনায় বাংলাদেশে মাইনিরিটি ওয়াচ BDMW প্রেসিডেন্ট এ্যাডঃ রবিন্দ্র ঘোষ নবাবগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন এবং বাংলাদেশ মাইনিরিটি ওয়াচ BDMW সকল জেলা কমিটিদের প্রতিবাদ কর্মসূচির পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। উক্ত ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে স্যোশাল মিডিয়ায়।
নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশ দর্পণ