পটুয়াখালী জেলাধীন গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ইউনিয়নে মা ও শিশু ১০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতাল দু-বছর আগে নির্মিত হলেও নেই এ হাসপাতলে কোন চিকিৎসক।
এ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিমানে রয়েছে আসবাব পত্র।তেমনি আছে প্রচুর রোগী। এছাড়াও চিকিৎসকদের জন্য রয়েছে আবাসিক ভবন। শুধু নেই চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরন্ঞ্জাম।বর্তমানে একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও একজন পাহারাদার ও ঝাড়ুদার দিয়ে চলছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট্য এ হাসপাতালের কার্যক্রম।
কী কারনে এ হাসপাতালে চিকিৎসক নেই? তা খোজ নিয়ে জানা যায় যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনও নিয়োগ দেয়নি কোন চিকিৎসক,সেবিকা, টেকনিশিয়ানস কর্মকর্তা-কর্মচারি।যার কারনে চিকিৎসক নেই এ হাসপাতালে। সরজমিন দেখা যায়, এখানে বসবাস ও কর্মরত রয়েছেন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ফেরদৌসি বেগম।
তিনি বাংলাদেশ দর্পন কে বলেন, "এখানে কমসংখ্যক লোকজন থাকায় অনেকটা নিরপত্তাহীনতায় ভোগেন।অবশ্য এখানে নৈশপ্রহরি ও সুইপার কর্মরত আছেন।"
এদিকে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জানান, " সরকারি বিধি অনুযায়ী একজন মেডিকেল অফিসার,টেকনিশিয়ান সেবিকা নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।এ নিয়োগ দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় ও স্বাস্থ্য মহাপরিচালকেরর দফতরের।তবে কী কারনে নিয়োগ দেয়া হচ্ছেনা তা আমার জানা নেই।"
এ ব্যাপারে, পানপট্টি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান,"চিকিৎসক ও চিকিৎসা সরন্ঞ্জাম না থাকায় চিকিৎসাসেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মানের উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে।গরিব সাধারন মানুষ বন্ঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা থেকে। তিনি আরো বলেন, এ চিকিৎসাসেবা সুবিধা বিশেষ করে সিজারিয়ান করার ব্যাবস্থা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মেও নেই এ জন্য যেতে হয় জেলা সদর পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।"