পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কালিকাপুর গ্রামের মহিউদ্দিন মাতব্বরের ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী  মোঃ লিমন। জানা যায়, নবম শ্রেনিতে পড়ুয়া লিমন (১৪) ছোটবেলায় টাইফয়েড আক্রান্ত হয়। পরে নিউমোনিয়া হয়ে তার ডান হাত ও ডান পা প্যারালাইজড হয়ে যায়। এরপর ডাক্তার দেখানো শুরু হতে থাকে কিন্তু শারিরীক অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি। গত তিন বছর পূর্বে সে একদিন বাথরুমে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে জ্ঞান হারালে সেই থেকে এই অজ্ঞান হওয়া রোগ তার নিত্য সঙ্গী হয়ে যায়।এই অজ্ঞান হওয়া  রোগের সাথে তার নানান উপসর্গ দেখা দিয়াছে।সে এখন ঠিকমত কথা বলতে পারেনা বর্তমানে সে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।

এদিকে চিকিৎসকের পরামর্শে চিন্তিত লিমনের পরিবার। লিমনের পরিবারের সংসারে অভাব অনটন মধ্যেও বরিশালে ও ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা করিয়েছেন।

চিকিৎসক জানিয়েছেন,তার মস্তিস্কে পানি জমেছে  তাই সে অজ্ঞান হয়ে পরে।এবং ঠিকমত কথা বলতে পারে না। তার  এখন   উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।ঢাকার কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান হুমায়ন কবির বলেন, "দেশের বাহিরে গিয়ে লিমনের ব্রেন অপারেশন করলে লিমন সুস্থ হয়ে যেতে পারে"।

এদিকে লিমনের বাবার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। কিন্তু অভাবের কারনে তার পরিবার চিকিৎসার ভার বহন করতে পারছে না। চিকিৎসার  অভাবে ধুকে ধুকে সে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।

এ ছেলের এ অবস্থা নিয়ে লিমনের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, " আমার একমাত্র ছেলের টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু দেখতে হবে হয়তো।এতটাকা কোথায় পাবো? ভেবে পাচ্ছি না!!! মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, তিনি যদি আমার ছেলের চিকিৎসায় আর্থিক সাহয্য করতেন তাহলে হয়তো আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারতাম"।"আর হ্যা যদি কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি যদি আমার ছেলের চিকিৎসায় কিছু টাকা দিয়ে সাহয্য করেন তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো"

সোনালি ব্যাংক সন্ঞ্চয়ী হিসাব নং- ১০০০১৮৮৮৮ এবং মোবাইল ০১৯৯১৪৪২৩৪৯(বিকাশ)