করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় এ লকডাউন। চলবে আগামী ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত। এর আগে রোববার (৪ এপ্রিল) লকডাউনের বিষয়ে ১১টি বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এদিকে লকডাউনে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কর্মজীবীরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লকডাউনে শিল্পকারখানা, বই মেলা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের অফিস চালু রয়েছে। চলছে দাফতরিক কাজও। অফিসগুলো সীমিত পরিসরে চালুর নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তবে সেসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে এসব অফিস পুরোদমেই চলেছে।


রাজধানী ঢাকা ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষের আনাগোনা কম থাকলেও অফিসগামীদের ব্যস্ততা দেখা গেছে। রাজধানীর সবগুলো আন্তঃরুটের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। গাবতলী, সায়েদাবাদসহ কোনো টার্মিনাল বা কাউন্টার থেকে দূরপাল্লার বাসও ছেড়ে যায়নি। রাজধানীতে চলাচলকারী বেশিরভাগ সামর্থ্যবান মানুষই ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত করছেন। তবে যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তারা সিএনজি এবং রাইড শেয়ারিংয়ের (মোটরসাইকেল) মাধ্যমে যাতায়াত করছেন। ফলে তাদেরকে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হচ্ছে।


জানতে চাইলে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার অফিস চালু রয়েছে। যেতে তো হবেই। আমিনবাজার থেকে গুলশানে বাসে আসতে আমার মাত্র ৩০ টাকা লাগে। কিন্তু পরিবহন না থাকায় ৩৫০ টাকা ভাড়া দিয়ে সিএনজি নিয়ে আসতে হলো। তারাও (সিএনজি চালক) সুযোগ পেয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও অনেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রো রাস্তায় নামিয়েছে। নিচ্ছে দিগুণ ভাড়াও। 
আব্দুস সামাদ নামে মাইক্রো চালক বলেন, গাড়ি না চালালে খামু কি। হ, দিগুণ ভাড়া নিতাছি। না নিয়ে কি করুম, পুলিশে মামলা দিলে তো অনেক টাকা লাগবো। কে দিবো?


এর আগে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে শুরু করে ৬৬ দিনের ‘সাধারণ ছুটি’ ছিল সারা দেশে। এ সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া সব যানবাহন বন্ধ ছিল। আর ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সংক্রমণ কমে গেলে ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ২৩ মে করা হয়। আর পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে ২৪ মে। পুনরায় জারি করা লকডাউন বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।