জনকণ্ঠ থেকে চাকরিচ্যুত অবস্থান কর্মসূচীতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে আনুমানিক ১০ জন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজন ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

তিনি জানান, জনকণ্ঠ ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে সামনের সড়কে অবস্থান করছিলো চাকরিচ্যুত সংবাদকর্মীরা। এসময় বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী হামলা তাদের ওপর হামলা চালায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোলনকারীদের ১০ জন রক্তাক্ত আহত হয়ে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া সোহেল নামে একজন পথচারীও আহত হয়েছেন। ইটের আঘাতে সড়কে থাকা ২টি প্রাইভেটকারের গ্লাস ভেঙে গেছে।

 

এর আগে, আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জনকণ্ঠ ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা।

 

গত ১৫ মার্চ দৈনিক জনকণ্ঠের ৬০ শতাংশ সাংবাদিকদের একসঙ্গে চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ। এই ‘গণছাঁটাই’ বন্ধে ওই দিন বিকালেই জনকণ্ঠ অফিসের সামনে সাংবাদিক নেতারা সমাবেশ শুরু করে প্রতিবাদ জানান। পরে বিষয়টি নিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়কে মীমাংসার আশ্বাস দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর নতুন করে একজন সংবাদিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর রবিবার চাকরিচ্যুত সাংবাদিকরা জনকণ্ঠ ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

 

চাকরিতে পুনর্বহালের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী, সাধারন সম্পাদক মশিউর খান, সাংগঠনিক মাঈনুল হাসান সোহেলসহ অন্য নেতারা উপস্তিত হন।

 

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, ‘চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সাংবাদিকদের আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছি আমরা। আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে বলতে চাই আপনার দ্রুত সাংবাদিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল করুন।’

 

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ক্র্যাব ও অন্যান্য গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

 

জাতীয় ডেস্ক | বাংলাদেশদর্পণ.কম