পটুয়াখালী: গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামের একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, ছেলে প্রতিবন্ধী। তার উপর একমাত্র উপর্জনক্ষম পরিবারের প্রধান শারীরিক প্রতিবন্ধী  এমাদুল (৩৮) দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করতে গিয়ে জায়গাজমি, ভিটেমাটি ও জীবনের সহায়সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। 

অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। স্ত্রী নাসিমা বেগম(২৮) বড় ছেলে  নিয়াজ(৯) ও ছোট ছেলে (৭) এই নিয়ে এমাদুলের চার সদস্যর পরিবার। স্ত্রী নাসিমা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী  ও বড় ছেলে নিয়াজ জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। নিজের আবর্তমানে স্ত্রী ও সন্তানদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রতিনিয়ত গুমরে মরে এমাদুল।

স্ত্রী ও সন্তানদের কথা মনে পড়লেই এ পৃথিবীতে আরও কিছুদিন বাঁচার স্বাদ জাগে এমাদুলের।
পানপট্টি ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামের মৃত্যু সোনা মিয়া মোল্লার ছেলে এমাদুল মোল্লা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এমাদুল পেশায় একজন জেলে।
তিনি জন্ম থেকেই  প্রতিবন্ধী ছিলেন না।
নিজের পেশাকে কাজে লাগিয়ে মোটামুটি ভালোই ছিলেন। ২০১৯ সালের দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন। এ অসুস্থতার কারনেই তার জীবনে নেমে আসে কালো আধার। তার জিহ্বার নিচে একটা টিউমার হয়।
বাংলাদেশে অনেক ডাক্তার থেকে চিকিৎসা নিয়ে বায়োপসি পরীক্ষা করে জানতে পারে তার মুখে,  গলায় ও ফুসফুসে ক্যান্সারের জীবানু পাওয়া গেছে।
ক্যান্সারে কারনে তার মুখের নিচের মারির দাঁত পরে গেছে।
পরে বাংলাদেশের ডাক্তার ভারতের ভেলোরে রেফার করেন।
ভেলোর ডাক্তার   চিকিৎসা দিয়েছেন। ফুসফুসে ক্যান্সারের কারনে তাকে আরো কয়েকবার ভেলোরে যেতে বলেছেন।
বিন্তু অার্থিক সংকটের কারনে তার যাওয়া হচ্ছে না। এদিকে তার শরিরে অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এমাদুল বলেন,  "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন আমাকে যদি কিছু সাহয্য প্রদান করেন তাহলে আমি  আমার জীবন ফিরে পেতে পারি। আমি বাঁচতে চাই"

এ এমাদুল ব্যাপারে,  গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন,  সরকারি ভাবে অসহয় রোগিদের জন্য সরকার সাহয্য করে থাকে। আমাদের মাধ্যমে আবেদন করলে তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।পরে সেখান থেকে অার্থিক সহায়তা করা যাবে।

সুব্রত কুমার শীল, গলাচিপা উপজেলা প্রতিনিধি