সাতক্ষীরা: সদরের গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা দাস। সে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের শান্তি রঞ্জন দাসের মেয়ে। তার ছোটবোনের নাম অসীমা দাস, সেও একই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে তারা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতো। দু’ বোন একই গ্রামের দেবদাস ঢালীর কাছে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেতো। রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে আসতো।
গতকাল সন্ধ্যায় দিদি পূর্ণিমা ও সে একসাথে প্রাইভেট পড়তে বের হয়। নদী পার হওয়ার পর সে দিদিকে আর দেখতে পায়নি। দেবদাস স্যারের কাছে বিষয়টি বলে সে বাড়িতে ফিরে আসে।
রাত ৯টার দিকে বাবা ও স্থানীয়রা পূর্ণিমাকে খুঁজতে বের হয়। সম্ভাব্য সকল স্থানে চেষ্টা করেও রাতে পূর্ণিমাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরদিন শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একই গ্রামের তারক মন্ডলের নির্মিত নতুন বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে পূর্ণিমাকে বিবস্ত্র ও দু’হাত বাঁধা অবস্থায় দেখতে পেয়ে এক নারী তাদের বাড়িতে খবর দেয়।
পূর্ণিমার দু’ হাত বাঁধা ছিল। গলায় ওড়না পেচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে স্থানীয় পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ