ঢাকাঃ টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পেলেন লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে সেঞ্চুরির পর ড্রেসিংরুমে স্যালুট জানালো একাই লড়ে যাওয়া লিটন। তার সেঞ্চুরিতে কমছে রানের ব্যবধান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৬৭ রান।
২০১৫ সালে অভিষেকের পর প্রথম সেঞ্চুরি পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। তবে প্রথম থেকে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির অপেক্ষাটা দেড় মাসের বেশি হতে দিলেন না লিটন কুমার দাস। নিউজিল্যান্ড সফরের দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন এ স্টাইলিশ ব্যাটার।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই লিটনের ব্যাটিংকে বলা হয় অলস সৌন্দর্য। আরও একবার এর উদাহরণ স্থাপন করলেন তিনি। বিশেষ করে ট্রেন্ট বোল্টের করা ৬১তম ওভারের প্রথম তিন বলে হ্যাটট্রিক বাউন্ডারিসহ মোট চারটি চার মারেন লিটন। এর আগে কাইল জেমিসনের ওভারে হাঁকান চার ও ছয়।
ইনিংসের ৭৪তম ওভার শুরু করেছিলেন ব্যক্তিগত ৯০ রানে থেকে। প্রথম তিন বল থেকে নেন ২, ২ ও ৪ রান। পরে চতুর্থ বলটি থার্ড ম্যানের দিকে ঠেকে দিয়েই দুই রান নিয়েই শতকের উদযাপন সারেন লিটন। মাইলফলকে পৌঁছতে তিনি খেলেন ১০৬ বল, যেখানে ছিল ১৪ চার ও একটি ছয়ের মার।
এক প্রান্তে যখন সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল; লিটনের সেসবে থোড়াই কেয়ার! প্রতিটি শটে মুগ্ধ করলেন দর্শকদের। এক ওভারে চারটা বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৪৮ থেকে চলে গেলেন ৬৮ রানে। লিটন যেন এখানে হয়ে উঠলেন উন্মত্ত সেই শিল্পী, যার কাছে দুনিয়ার সবকিছু তখন তুচ্ছ।
তার কেবল ব্যাটিংটা দরকার। ১০ বলে লিটন করেছিলেন ৩১ রানও। হ্যাগলি ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে লিটন খেলেছেন কেবল ১০৬ বল। কিন্তু কোথাও তাকে মনে হয়নি, বাড়াবাড়িটা বোধ হয় করে ফেললেন!
দারুণ ইনিংসটার সমাপ্তি অবশ্য হয়েছে দ্রুতই। তবে সেটা আম্পায়ারস কলে। জেমিসনের বল প্যাডে লেগেছিল তার। আম্পায়ার আঙ্গুুল তুলে দিয়েছিলেন। পরে দেখা যায় আম্পায়ারস কল হয়েছে। ১১৪ বলে ১০২ রান করে সাজঘরে ফেরত যান লিটন।
এর আগে গত নভেম্বরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ১১৪ রান করেছিলেন তিনি। পরে নিউজিল্যান্ড সফরেও প্রথম ম্যাচে খেলেন ৮৬ রানের ইনিংস। আর এবার পেয়ে গেলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা।
প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ