প্রথম দুই ওয়ানডে জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ জিতে গেছে বাংলাদেশ। মিশন এবার হোয়াইটওয়াশের। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লিটন-মুশফিকরা ৩০৬ রান তুলেছিলেন। প্রতিপক্ষে, মাঠ সঙ্গে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে এদিন দেখা মিলল মুদ্রার উল্টো পিঠের। নির্ধারিত ৫০ ওভারও খেলতে পারলেন না সাকিব-তামিমরা। ব্যাট হেসেছে কেবল এক লিটন দাসের। আর তার ৮৬ রানের ইনিংসেই ভর করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান সংখ্যা ১৯২।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সাবধানী খেলতে থাকেন তামিম ও লিটন। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে এই দুই ব্যাটার স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৪৩ রান। প্রথম দশ ওভারে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ একটা শুরু এনে দেওয়ার পর ৪৩ রানে ভাঙে এই জুটি। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১১ রান। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৮ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ রানের বেশি যেতে পারেননি। 

ফজলহক ফারুকি যেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে গেছেন বাংলাদেশি ব্যাটারদের। বিশেষ করে ফারুকির সামনে যেন টিকতেই পারছেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই ফারুকির কাছে পরাস্ত হয়েছেন টাইগার ওপেনার। প্রথম দুই ওয়ানডেতে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হলেও সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে তামিমকে বোল্ড করে মাঠছাড়া করেছেন আফগান পেসার ফজলহক ফারুকি।

দুর্দান্ত ফর্মে লিটন দাস। দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরির পর তৃতীয় ম্যাচে এসেও পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা। আজমতুল্লাহর বলে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের ৫০তম ওয়ানডেতে চতুর্থ অর্ধশতক পান লিটন। ৬৩ বলে এল অর্ধশতক, চার ৬টি। এই অর্ধশতকের পথে ৩৫ রানে থাকার সময়ই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রানও হয়ে গেছে লিটনের। 

দলীয় ১০৪ রানে সাকিবকে হারায় বাংলাদেশ। আজমতউল্লাহর বলে রক্ষণাত্মক খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে বোল্ড হন সাকিব। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। সাকিবের বিদায়ে ভাঙে ৬৯ বল স্থায়ী ৬১ রানের জুটি। ৩৬ বলে তিন চারে ৩০ রান করেন সাকিব।

আজকের ম্যাচে জয় পেলে পাকিস্তানকে টপকে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করে নিবে বাংলাদেশ। আর সেই সাথে প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশও করা হবে। এর আগে ২০১৬ সালে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিলো বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিলো বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: 

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

আফগানিস্তান একাদশ: 

রহমানুল্লাহ গুরবাজ, রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাসমতুল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, ফরিদ আহমেদ ও ফজল হক ফারুকি।



প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ