ঢাকাঃর‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের কাছে ধর্ণা দেয়া দেশের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার বর্বরভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে। এই দানব সরকারকে প্রতিরোধ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। 

সরকারকে সরাতে জনমত গড়ে তুলতে পেশাজীবিদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। পেশাজীবীদের সম্মানে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাষ্ট্র দখলের মত একই কায়দায় জোর করে আইনজীবী সমিতির ফলাফল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। পেশাজীবীদের প্রতিবাদ করা দরকার। আইনজীবীদের উচিত ছিল প্রতিবাদ করা।

তিনি বলেন, নিউমার্কেটে দুজন নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে ছাত্রলীগের হাতে। কিন্তু বিএনপি নেতাদের নামে মামলা দিয়েছে তারা। অথচ যারা জড়িত মিডিয়ায় তাদের ছবি চিহ্নিত হয়েছে। আজ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এতদিন তারা বিএনপি নেতা মকবুলের নামে মামলা দিয়েছে। 

বিএনপির মহাসচিব বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের কাছে ধরনা দিচ্ছে। কিন্তু যখন রোহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের কথা বলা প্রয়োজন ছিল তখন কথা বলেনি বতমান সরকার। একদলীয় শাসন কায়েম করছে তারা। 

'এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিরপেক্ষ কমিশনের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন। এ দেশের পেশাজীবিদের প্রতি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান। 

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, জাতীর কঠিন সময়ে, ক্রান্তিলগ্নে রাজনীতি এদেশ থেকে প্রায় বিতারিত। গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। এমনকি গ্রাম-গঞ্জে ইফতার মাহফিলে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। মানুষের মৌলিক অধিকার নেই। কথা বলার অধিকার নেই। ভোটের অধিকার নেই। তারপর রমজানের শিক্ষা নিয়ে আমরা সংযম ধারণ করেছি। 

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে অবশ্যই প্রতিবাদ জানিয়ে এদেশের সরকারকে হটিয়ে দিয়ে, খালেদা জিয়ার দিকনির্দেশনায় জিয়াউর রহমানের আর্দশ ধারণ করে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পূর্ণ-প্রতিষ্ঠিত করব।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।


প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ