ঢাকাঃবিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে ৩৮ সফল মাকে ‘রত্নগর্ভা মা’ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। রবিবার (৮ মে) সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে মায়েদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা। একই অনুষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে ‘মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল’ অ্যাওয়ার্ড। আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, সংসদ সদস্য ও কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (এন্টি টেররিজম ইউনিট) সালমা বেগম ও ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল। উদ্যোক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

৩৮ জনের মধ্যে ১৩ জনকে বিশেষ ও ২৫ জনকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। 

বিশেষ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড পাওয়া রত্নগর্ভা মা হলেন- হামিদা বেগম, মাহমুদা বেগম, জাহানারা বেগম, সফুরা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, মাইমুনা আক্তার খাতুন, মাজেদা বেগম, আশা বড়ুয়া, খালেদা খানম, মাফিয়া বেগম, জাহানারা হোসেন, নাজিমা বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌসী।

সাধারণ ক্যাটাগরির ২৫ মা হলেন- আমেনা বেগম, লতিফা খানম, পুনুয়ারা বেগম, মর্জিনা সাখাওয়াত, সামসুন নাহার, আয়েশা খাতুন, রোকশনা আহম্মেদ, নাফিসা বেগম, ফারমিদা সাত্তার, সেলিমা খাতুন, রেহানা শফিক, অ্যাডভোকেট হাজেরা পারভীন, সুরাইয়া খানম, মাফিয়া আখতার, খোশনূর, পারুল বেগম, নাজমা আনিস, ফরিদা ইয়াসমিন, রওশনয়ারা বেগম, ওয়াজিফা খাতুন, সিদ্দিকা বেগম, শাতিল আবেদা, ফয়জুন্নেছা বেগম, মমতাজ খানম ও মমতাজ বেগম।

এছাড়া, মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল পুরস্কার পেয়েছেন চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করেন রত্নগর্ভা মা সামসুন নাহারের মেয়ে নাঈনা তাবাসসুম, সফুরা খাতুনের মেয়ে উম্মে মুসলিমা, মাইমুনা আক্তার খাতুনের ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মো. এনায়েতুর রহমান, রওশন আরা বেগমের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান, ২০১৮ সালে রত্নগর্ভা পুরস্কারপ্রাপ্ত ড. পারভীন হাকিম আনোয়ার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমরা নারীদের করুণা করি, অধিকার দেই না। নারীদের অধিকার আদায় করতে হবে। অধিকার না থাকলে মূল্যায়ন থাকে না।

তিনি বলেন, একসময় ছেলেরা পরীক্ষার ফলে এগিয়ে ছিল, এখন অনেক ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে। এটাই নারীর অগ্রযাত্রা। তবে এতকিছুর অন্তরালে একজন মা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কারণেই নারীদের ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ