দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসেই ম্যাচের ভাগ প্রায় নির্ধারণ করে দিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা, মার্কাস স্টয়নিসরা। এরপর অল্প যা কাজ বাকি, সেটি চোখের পলকে করে ফেললেন টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। নামিবিয়ার বিপক্ষে অনায়াস জয়ে পরের ধাপে নাম লেখাল অস্ট্রেলিয়া।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভ রিচার্ড স্টেডিয়ামে বুধবার ৯ উইকেটে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। নামিবিয়ার ৭২ রান মাত্র ৫.৪ ওভারেই পেরিয়ে যায় তারা। তখনও শেষ হয়নি পাওয়ার প্লে। ইনিংসে অক্ষত ৮৬টি বৈধ ডেলিভারি!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি বল বাকি থাকতে জয়ের নজির আছে আর একটি। ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকে ৩৯ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯০ বল বাকি রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
ওমান, ইংল্যান্ডের পর এবার নামিবিয়াকে উড়িয়ে ‘বি’ গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে সুপার এইটে নাম তুলল অস্ট্রেলিয়া।
৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের কারিগর জ্যাম্পা। একইসঙ্গে এদিন দেশের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট পূর্ণ করেন ৩২ বছর বয়সী লেগ স্পিনার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তার হাতেই ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের পাওয়ার প্লে স্কোরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধান। ২০২১ সালে স্কটল্যান্ডের ২ উইকেটে ২৭ রানের বিপরীতে নামিবিয়া করেছিল ২ উইকেটে ৮২ রান। এত দিন এটিই (৫৫) ছিল রেকর্ড।
এরপর এরাসমাসের প্রচেষ্টায় কিছুটা পথ পাড়ি দেয় নামিবিয়া। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৩ বলে ৩৬ রান করেন দলের অধিনায়ক। তবু টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর অবশ্য এড়াতে পারেনি নামিবিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নামিবিয়া: ১৭ ওভারে ৭২ (ফন লিনগেন ১০, ডেভিন ২, ফ্রাইলিংক ১, এরাসমাস ৩৬, স্মিট ৩, গ্রিন ১, ভিসা ১, ট্রাম্পেলম্যান ৭, শুলজ ০, ব্র্যাসেল ২*; শিকঙ্গো ০; হেইজেলউড ৪-০-১৮-২, স্টয়নিস ৩-০-৯-২, কামিন্স ৩-১-১৬-১, জ্যাম্পা ৪-০-১২-৪, এলিস ৩-১-১২-১)
অস্ট্রেলিয়া: ৫.৪ ওভারে ৭৪/১ (ওয়ার্নার ২০, হেড ৩৪*, মার্শ ১৮*; ট্রাম্পেলম্যান ২-০-১৯-০, ভিসা ১-০-১৫-১, শিকঙ্গো ১-০-১৯-০, এরাসমাস ১-০-৬-০, ব্র্যাসেল ০.৪-০-১৪-০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: অ্যাডাম জ্যাম্পা