আগামী বছর এইচএসসি সমমান পরীক্ষা এপ্রিলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রোববার বিকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিটিউটে এইচএসসি সমমান পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ বছর সময়ের আগেই কিছু জায়গায় আমরা বন্যা দেখেছি। বন্যার কারণে সিলেট বিভাগে আমরা পরীক্ষা নিতে পারছি না। আমরা শুষ্ক মৌসুমেই পরীক্ষা নিতে চাই।

সেজন্য আমরা পরীক্ষা আরও আগে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। আগামী বছর আমরা এপ্রিলেই এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারব বলে আশা করছি।

২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল।

তবে তাতে বাদ সাধে কোভিড মহামারী। এই কারণে ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ সালের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ওই বছরের শেষ মাসে। পরের বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় নভেম্বরে এবং ২০২৩ সালে অগাস্টে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সবশেষ চলতি বছরের পরীক্ষা শুরু হয়েছে রোববার।

ঢাকা চট্টগ্রামে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নওফেল।

তিনি বলেন, “যেসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ পরে হলেও পৌঁছাতে পেরেছে, সেখানে কেন্দ্র সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেভাবে সময়টা অ্যাডজাস্ট করে তাদের পরীক্ষা নিতে।

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বোর্ডের অধীনে ৮৭টি কেন্দ্রে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ২৬টি কেন্দ্রে এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

সিলেট বোর্ড ছাড়া আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা বোর্ড কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৭৩ জন।

সিলেট বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮২ হাজার ৪১৭ জন। আগামী জুলাই থেকে বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হবে।

ডেস্ক  রিপোর্ট,বাংলাদেশ দর্পণ