বিএনপি যে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে না, সেই বিষয়টি আবার তুলে ধরেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এগুলো নিয়ে এখন আলোচনারই কথা ছিল না। কিন্তু সেগুলোকেই আলোচনায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
শনিবার সন্ধ্যায় মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে প্রয়াত বিএনপি নেতা ও সাবেক সরকারি চাকুরে সাবিহ উদ্দিন আহমেদের স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিককে প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক বিএনপি নেতাকে বলেন, “জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করার করার দাবি উঠেছে, এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাই।”
জবাবে ফখরুল বলেন, “আমি আমার কথা বহু আগেই স্পষ্ট করেছি, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আমরা কারা? জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটিকে নিষিদ্ধি করতে উচ্চ আদালতে একটি রিট সরাসরি খারিজ হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একদল মানুষ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এই হামলার কিছুক্ষণের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয় পার্টিকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, “এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।”
“দেশকে ঘিরে আরেকটা ‘চক্রান্ত’ শুরু হয়েছে” মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, “একটা অনিশ্চয়তা, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার জন্য আবার এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে।
“যেটা কোনো ইস্যু না সেটাকে ইস্যু করা হচ্ছে। এটা সম্পর্কে আমি মনে করি সকলের সচেতন হওয়া দরকার।”
অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহফুজ আনামও এতে বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ দর্পণ