মাদরাসা সুপার মাওলানা ইলিয়াছ জমাদ্দার (৪৮) কোরআন শিক্ষা শেষে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে তার অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলা হবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে ছেড়ে দেন। বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি ধর্ষণের কথা কাউকে বলেনি। পরে রক্তমাখা অবস্থা দেখে মা-বাবা শত জিজ্ঞাসার পরও ভয়ে মুখ খোলেনি মেয়েটি।

গত ৮ আগস্ট বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (সতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদরাসায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিকে ওই লম্পট মাদরাসা সুপার ওইদিন বিকেলে মেয়েটির বাড়িতে যান। সেখানে গেলে মা-বাবা ও পারিবারের লোকজন মেয়ের অসুস্থতার কথা সুপারকে জানালে তিনি বলেন, হয়তো মাদরাসা থেকে আসার পথে খারাপ বাতাস লেগেছে। তাই রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

পরে ওই লম্পট মেয়েটিকে তাবিজ ও পানিপড়া দেন। এতে সে সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেও সুস্থ না হলে ঘটনার দুদিন পার মেয়েটি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। মা-বাবা মানসম্মানের ভয়ে গোপনে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে সে কিছুটা সুস্থ হয়। পরে ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মামলার পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, ওই মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে এর আগেও এ ধরণের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

শরণখোলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান শেখ জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় সুপার ইলিয়াছ জমাদ্দারকে আসামি করে মামলা করেছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে ২২ ধারায় জবানবন্দী নেওয়ার জন্য বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। খবর: কালের কণ্ঠ