চীন এমন এক দেশ যেখানে সনাতন ধর্ম প্রচলন থাকার হাজার হাজার প্রমান রয়েছে। তবে সভ্যতার উত্থান পতনে চীন ধীরে ধীরে নাস্তিক দেশে পরিণত হয়েছে।

আজকের দিনে দাঁড়িয়ে চীন বিশ্বের সবথেকে বড় নাস্তিক দেশ। অন্যদিকে চীনের সরকার এখনও অবধি ইসলাম, খ্রিস্টান ধর্মকে বিপদ বলে সম্বোধন করে। তবে এসবের মধ্যেই চীনে সনাতন ধর্ম যেন নতুন করে জেগে উঠছে। চীনের মানুষজন সুখ শান্তি খুঁজে পেতে সনাতন ধর্মের প্রতি ব্যাপকহারে আকৃষ্ট হচ্ছে। এক রিপোর্ট অনুযায়ী চীনের বড়ো বড়ো শহরের মানুষজন যোগাকে জীবনযাপনের অঙ্গ হিসেবে নিতে শুরু করেছে। যোগার সাথে সাথে চীনের লোকজন সনাতন হিন্দু ধর্মকে আপন করে নেওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।


চীনের মানুষের কাছে এমনিতেই বিগত কিছু বছরে সমৃদ্ধি প্রচুর পরিমানে বেড়েছে তবে মূল সমস্যা মানসিক চাপে। সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হলেও মানুষের অবচেতন মন সত্যের সন্ধানে সর্বদা লেগে থাকে। আর এই কারণেই চীনের বড়ো বড়ো শহরের লোকজন হিন্দু সনাতন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। জানিয়ে দি, চীনে সনাতন হিন্দু ধর্মের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষকিছু ধর্মকে চীন কড়া চোখে দেখলেও সনাতন ধর্মের প্রতি চীনের কোনো কঠোরতা নেই।

চীনের মানুষজন এখন মাথায় তিলক লাগানো, হাতে লাল সুতো বাঁধার মতো সনাতন রেওয়াজগুলিকে প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। করোনা ভাইরাসের দরুন চিনে সনাতন প্রথার একটু বেশিই প্রভাব দেখা মিলছে। উদাহরণস্বরূপ চীনের অনেকে স্থানে মৃতদেহকে অন্যভাবে সংস্কার করার পরিবর্তে হিন্দু রীতি মেনে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেললে ব্যাক্টেরিয়া বা ভাইরাস ছড়াতে পারে না। সনাতন শাস্ত্র অনুযায়ী মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেললে তা পঞ্চতত্ত্বে বিলীন হয়ে যায়। এখন চীনের মতো দেশেও এই নিয়ম মেনে চলে করোনা ভাইরাস এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।

লক্ষণীয় বিষয় এই যে, ইসলাম বা খ্রিষ্টানের মতো ধর্মের প্রচারের জন্য বহু কোটি টাকা খরচ করা হয়। কিন্তু চীনে সনাতন ধর্মের প্রচারে কোনো বাহ্যিক শক্তির হাত নেই। মানুষজন নিজের জীবনকে শুধুমাত্র আরো উন্নত পর্যায়ে আনার জন্য  সনাতন!