সাতক্ষীরা: তালা উপজেলার নগরঘাটায় সংখ্যালঘু কালীপদ চক্রবর্তীর ছেলে মুদি ব্যবসায়ী সুবল চক্রবর্তীকে (৫০) প্রকাশ্যে সবার সামনে মারধর ও কলেমা না পড়লে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন দক্ষিণ নগরঘাটা গ্রামের আব্দুর রহিম সরদারের ছেলে মোস্তাক (৩০)।
সারা দেশ যখন করোনা আতঙ্কে ভুগছে ঠিক তখনই সন্ত্রাসী মোস্তাক জানিয়ে দিলেন তিনি করোনার থেকেও ভয়ংকর। তার আতঙ্কেই ভুগছেন এলাকার সংখ্যালঘুরা।
ভুক্তভোগী সুবল চক্রবর্তী নগরঘাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপুকে ঘটনাটি জানালে তিনি তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নেননি। এরপর তিনি পাটকেলঘাটা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল (সোমবার) সুবল চক্রবর্তী নগরঘাটার ত্রিশ মাইল সংলগ্ন মুদি ও ফলের দোকানে বিকাল ৪টায় অবস্থান করছিলেন। এ সময় কোনো হঠাৎ তার পাশের ফল ও মুদি দোকানদার মোস্তাক তাকে দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে রাস্তায় ফেলে উপর্যুপরি পেটাতে থাকে। এ সময় মোস্তাক বলতে থাকে, ‘শালা মালাউন, হয় কলেমা পড়, না হলে ভারতে চলে যা।’ এভাবে তাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে এক পর্যায়ে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।
কেন তাকে মারা হলো, এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুবল চক্রবর্তী বলেন, আমার দোকানে কেনা-বেচা বেশি হওয়ায় এর আগেও সে কয়েকবার আমাকে মারধর করেছে। আমার দোকানও ভাংচুর করেছে।
তিনি বলেন, আমি হিন্দু বলে আমার উপর হিংসাত্মক মনো-ভাবাপন্ন হয়ে, আমি যাতে দোকানদারী করতে না পারি, সেজন্য সে কোন কারণ ছাড়াই এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটাই। সে কারণে, আমি কোন উপায় না পেয়ে এলাকার প্রায় দুইশ’ মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে পাটকেলঘাটা থানায় একটা অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোস্তাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, অভিযোগের তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।