দিনাজপুর: মানবতা তখনই পূর্ণতা পায় যখন তা উপযুক্ত স্থান-কাল-পাত্রে চর্চা করা হয়। চলতি করোনা মহামারিতে নিজের যথাসাধ্য দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মতো উদারতা আজ বড্ড প্রয়োজন। ঠিক এমনই এক মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী মন্টু চন্দ্র রায়। প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে জমানো ও গরু বিক্রির টাকা তিনি দান করেছেন উপজেলা ত্রাণ তহবিলে।

শুক্রবার (৮ মে) বিকালে প্রতিবন্ধী ভাতার জমানো ২ হাজার ৪০০ ও গরু বিক্রির টাকাসহ ১০ হাজার ৫০০ টাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলামের হাতে তুলে দেন মন্টু।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের নলবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মন্টু চন্দ্র রায়। পেশায় একজন সাইকেল মেকানিক। তিনি বলেন, ‘এই কাজটি করতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে। আমার সক্ষমতা সীমিত, তবুও আমি সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।’

এই ভাতার টাকা ও বাজারে সাইকেল মেরামত করেই সংসার চলে মন্টুর। কিন্তু, করোনা ভাইরাসের কারণে বাড়ির বাইরে বের না হতে পেরে অনেক মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছেন। অনেকেই এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তাদের দেখেই তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন বলে জানান মন্টু।

মন্টু বলেন, ‘সরকারের থেকে পাওয়া ৩ মাসের ভাতার টাকা ও বাড়ির ছোট একটি গরু বিক্রি করে সাড়ে ১০ হাজার টাকা উপজেলা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছি। আমাদের ইউএনও স্যারকে করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সামান্য সহযোগিতা করলাম।’

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী মন্টুকে দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হবেন বলে আমি মনে করি। একইসঙ্গে আমি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’