নেত্রকোনা: জেলার আটপাড়া উপজেলায় আইন অমান্য করে কোচিং পরিচালনার দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও কেন্দুয়া উপজেলায় সরকারিপ্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য।

রবিবার (১৯শে জুলাই) সকালে তেলিগাতী ইউনিয়নের পূর্ব হাতিয়র গ্রামে মোঃ রেজাউল হককে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে কোচিং কার্যক্রম পরিচালনার অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারা মোতাবেক ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া। করোনা প্রাদুর্ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলেও, মৃত শামছুল হক এর ছেলে মোঃ রেজাউল হক, সেই নির্দেশ অমান্য করে বেশ কিছুদিন ধরে গোপনে কোচিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।

অন্যদিকে কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে ক্লাস রুমেই বহিরাগতদের দিয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য। 

সোমবার (২০জুলাই) সকাল ৯ঘটিকায় সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষ্ণরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি ক্লাস রুমের দরজা বন্ধ করে গাঁদাগাদি করে মাধ্যমিক শ্রেণীর প্রায় ১শত শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য। 

কোচিং চলাকালে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে বহিরাগত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বহিরাগত শিক্ষকরা হচ্ছেন কৃষ্ণরামপুর এলাকার শহীদ মিয়ার ছেলে এনামুল ও পরিমল চন্দ্রের ছেলে প্রিয়তোষ। বহিরাগতরা বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে কোচিং বাণিজ্য করানোর বিষয়ে কৃষ্ণরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুণ অর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

কেন্দুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী জানান, করোনা মহামারিতে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নয়ন বর্মন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি | বাংলাদেশদর্পণ.কম