নেত্রকোনা: “আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে”-সহ অসংখ্য বিরহী গানের রচয়িতা বাউল সাধক উকিল মুন্সীর স্মৃতি রক্ষার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার জৈনপুর গ্রামে উকিল মুন্সীর স্মৃতি সমাধি, সড়ক-ব্রিজ নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পের কাজে ২৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

প্রকল্পটির উদ্যোক্তা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান। উপজেলার জৈনপুর মৌজায় ৫৩ শতাংশ ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ডিপিপি অনুমোদন পায়। এ প্রকল্পে ৫ কোটি টাকায় একাডেমি ভবন, সমাধিস্থল সংস্কার, সীমানা দেয়াল, সংগ্রহশালা ও উকিল মুন্সী চত্বর নির্মাণ করা হবে। গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাইমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়।

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়। গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) উকিল মুন্সী বসতবাড়ীগামী জৈনপুরে ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই কিলোমিটার রাস্তা, মরা বেতাই নদীতে ২ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় ব্রিজ নির্মাণকাজ চলমান। উকিল মুন্সী সমাধিস্থলে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে আরও দুটি ব্রিজ নির্মাণে বেতাই নদীতে ৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১টি ব্রিজের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করেছে। উকিল বাজার হতে উকিল মুন্সী সমাধিস্থলে সহজে পৌঁছতে আরেকটি ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন।

উকিল মুন্সী স্মৃতিরক্ষা প্রকল্পের পরিচালক শিবলী আহম্মেদ বলেন, চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে কাজ সম্পন্ন করা হবে। তবে প্রকল্পের প্রয়োজনে মেয়াদ বৃদ্ধি হতে পারে। উকিল মুন্সী স্মৃতি রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে দেখে এলাকাবাসী খুব খুশী। তারা জানান এর ফলে আমাদের প্রিয় সাধক উকিল মুন্সীকে নতুন প্রজন্মের কাছে তোলে ধরার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

নয়ন বর্মন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি | বাংলাদেশদর্পণ.কম