প্রায় পাঁচশত বছরের বেশি পুরনো সিঙ্গুরের ডাকাত কালী মন্দির। এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে অনেক কাহিনী। কথিত আছে, ডাকাতেরা একসময় এখানে ঘটে মায়ের পূজা করত। মায়ের কোনো প্রতিমা ছিল না এখানে। ঘটে পূজা করার পর যদি পূজার ফুল ঘট থেকে পড়ত তবেই তারা ডাকাতি করতে যেত নাহলে যেত না।
এছাড়াও অনেক ঘটনা ঘটেছে এখানে, এই পথে মা সারদা রামকৃষ্ণ দেবকে দেখতে দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছিলেন। পথে ডাকাত দল মা সারদাকে আটকালে তারা সারদার মুখে মা কালীর রূপ দেখতে পায় এবং মা সারদার পথ ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় চালকেবাড়ি গ্রামের মোড়ল একদিন ঐ পথে ব্যবসা করতে যাওয়ার পথে এক বৃদ্ধার দেখা পান। সেই বৃদ্ধা তাঁকে ব্যবসার থলি নিয়ে বাড়ি ফিরে আসতে বলে নাহলে খপ্পরে পড়ার সম্ভবনা আছে বললেন বৃদ্ধা। বৃদ্ধার কথা শুনে মোড়ল মন খারাপ করে বাড়ি ফিরে আসেন এবং সেই রাতেই মোড়ল ঐ স্থানে মন্দির প্রতিষ্ঠার স্বপ্নাদেশ পান। সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন তার ব্যবসার থলেতে সোনার মোহর। সেই মোহর দিয়ে সে স্বপ্নাদেশ পালন করেন এবং মন্দির তৈরিতে ডাকাতেরাও সাহায্য করেছে বলে শোনা যায়। পরবর্তীতে বর্ধমানের রাজা একবার মন্দির বড় করে সংস্কার করেন ।
বর্তমানে প্রতিদিন সিঙ্গুরের ডাকাত কালীর নিত্যপুজো হয়। কালীপুজোর দিন মায়ের বিশেষ অনুষ্ঠিত হয় এবং সেদিন দূরদূরান্তের অনেক ভক্তরাও আসেন এখানে।