পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট নামক এলাকায় খিতিশ চন্দ্র মাঝি সহ তার পরিবারের মোট ৯ সদস্যের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত ২৪ শে আগস্ট শনিবার বিকাল আনুমানিক ৫ টার সময় খিতিশ মাঝি তার নিজের ছোট্র চায়ের দোকানে প্রতিদিনের মতো কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছিলেন, এখানে আরো উল্লেখ্য যে দোকানটি আজ থেকে ৪০ বছর আগে কবলা সূত্রেই তিনি ভোগদখল করছিলেন।

ওই সময় হঠাৎ এলাকার স্থানীয় জহির সিকদার, তার স্ত্রী সুখি বেগম, স্থানীয় কামাল, তার ছেলে ইরাক, রুপচান, বায়েজিদ সহ ১৫থেকে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল খিতিশের দোকানে হামলা এবং ভাঙচুর করতে শুরু করে। এসময়ে দোকানে খিতিশ মাঝি তাঁর ছেলে খোকন চন্দ্র মাঝি এবং খিতিশের স্ত্রী লক্ষ্মী রানী দোকানে উপস্থিত ছিলেন। 

ভাঙচুর শুরু হলে তারা সন্ত্রাসীদের বাধা এবং প্রতিহত করলে খিতিশ, খোকন এবং লক্ষ্মী রানীকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। ঘটনা জানতে পেরে খিতিশের পুত্রবধূ এবং খোকনের স্ত্রী অঞ্জনা রানী তার কোলের দুই বছরের শিশু সন্তান কথাকলি কে নিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে তাকেও রেহায় দেওয়া হয়নি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয় শিশু সন্তানের মা অঞ্জনা রানীকে। এমনকি এই অবুঝ শিশুটিকেও মারধোর করা হয়। 

এরপর খিতিশ মাঝির পরিবারের অন্যান্য সদস্য জয় চাঁদ মাঝি, কনক বালা, যতীন মাঝি এমনকি ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা শেফালী রানীকেও সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে জখম করে। তাদের অপরাধ, তারা এই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে চেয়েছিলেন। আহত সকলকে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে কর্তব্যরত ডাক্তার গুরুতর আহত লক্ষ্মী রানী, অঞ্জনা রানী এবং খোকন চন্দ্র মাঝিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। 

এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার বা আটক হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।