ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলাধীন ৫ নং সৈয়দপুর এবং ১৯ নং বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দুই শতাধিক পরিবারের একমাত্র শশ্মানঘাট ও শশ্মান কার্যে ব্যবহারিক ইনুয়া পুকুর নামের পুকুরটি স্থানীয় হিন্দুদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে দখলে নিয়েছে এলাকার চিহ্নিত ভুমিদস্যু মৃত বেশারত ইসলামের পুত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম,মোঃ তরিকুল ইসলাম,নুরুল ইসলাম এবং তছিম উদ্দিনের পুত্র মোঃ হাফিজুল ইসলাম,মাইজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ তাইজুল গংরা।

জানা যায় পীরগঞ্জ উপজেলাধীন ৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের কিসমত পুর মৌজার ৩৯ নং জে.এল ৩ নং খতিয়ান,৯৪ দাগের ১.৬৭ একরের মধ্যে ৮৩ শতক,৯৫ দাগের ১.৮৪ মধ্যে ৯২ শতক মোট ১.৭৫ একর জমি হিন্দুদের শশ্মান কার্যে ব্যবহারিত হিসেবে দলিলে রেকর্ডভুক্ত থাকা সত্ত্বেও ভুমিদস্যুরা শুধুমাত্র গায়ের জোরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মাধ্যমে দখলে নেয় বলে জানান শশ্মান কমিটির সভাপতি নারায়ন চন্দ্র রায়। তিনি আরও বলেন ভুমিদস্যু সন্ত্রাসীরা ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছেন কেও কোন শবদেহ নিয়ে প্রবেশ করলে সবাইকে লাশ বানিয়ে দিবেন এমন হুমকিতে চিন্তায় পরেছেন স্থানীয় হিন্দুরা। এমন অবস্থায় এই বিষয়ে গত ০৩ সেপ্টেম্বর পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর গনসাক্ষার সম্মিলিত একটি অভিযোগ প্রদান করে শশ্মান কমিটি।।

এ বিষয়ে খবরের সত্যতা স্বীকার করে পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রেজাউল হক বিপ্লব বলেন"তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করছি। পীরগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার রায় বলেন ঘটনাটি আমাকে অবগত করেছে শশ্মান কমিটি,তাদের সকলকে কাগজপত্র সহিদ আসতে বলেছি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বসার জন্য।"

৫ নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেছেন "ঘটনাটি দুঃখজনক আমাদের ইউনিয়নে ভুমিদস্যুদের কোন স্থান নেই,ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। ১৯ নং বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বনি আমিন বলেন তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।"

স্থানীয় ইউপি সদস্য গৌতম কুমার সরকার বলেন ঘটনা সত্য,ভুমিদস্যুদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে স্থানীয় হিন্দুরা বিপাকে রয়েছেন,এ কারণে শশ্মানঘাটের পার্শ্বে দূর্গা মন্দিরে এবারের পূজার নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন।