রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ফলহারিয়া গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি শ্মশান দখল ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার জন্য ২৪ জন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার শরাণাংকর থের নামের এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর ইন্ধনে শ্মশানটি দখল করে নেওয়া ও শবঘর চিহ্ন ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রামের প্রিয়তোষ কান্তি দে বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাদি প্রিয়তোষ কান্তি দে জানান, সনাতন ধর্মীয় বিধান অনুসারে ওই শ্মশানে যাদের মৃতদেহ সৎকার করা হয়েছে তাদের দাহকৃত স্থানে ১৮টি শবঘর তৈরি করা হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে ২০ থেকে ৩০ জন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের চিহ্নিত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে শ্মশানে ভাংচুর চালায়। তারা মৃতদেহ রাখার দোচালা টিনের ঘরটিও আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেই। এ সময় মহাশ্মশানের ৮টি শবঘরও ভাঙচুর করে তারা। খবর পেয়ে তাদের বাধা দিতে গেলে তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে মারধর করে। শ্মশানের জায়গাটি দখল করার জন্য পার্শ্ববর্তী জ্ঞানশরণ মহা অরণ্য বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু শরণাংকর থের এর ইন্ধনে এসব ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে তিনি দাবী করেন।
পুলিশ ও এজাহার থেকে জানা যায়, উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ফলাহারিয়ার সার্বজনীন মহাশশ্মানে ২০০০ সাল থেকে স্থানীয় সনাতন সম্প্রদায়ের জনসাধারণ মৃত দেহ সৎকার করে আসছে। কিন্তু ফলাহারিয়া জ্ঞানশরণ মহা অরণ্য কুটির বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু শরণাংকর থের এর নির্দেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশানটি দীর্ঘদিন ধরে দখলের পায়ঁতারা চালিয়ে আসছে। গত কয়েক বছর ধরে তারা ওই শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারেও বাধা প্রদান করছে। গত বছরের ১০ জুলাই সনাত সম্প্রদায়ের শান্তিবালা দে নামে এক নারীর মৃতদেহ নিয়ে গেলে বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে লাশ সৎকারে বাধা দেয় এবং ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে তার সাথে আলোচনা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় লাশটি সৎকার করা হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মামলা করেছেন। তদন্ত পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।