নেত্রকোণা: জেলায় "মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৫ম পর্যায়" শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সোমবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টায় মাননীয় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সহকারী প্রকল্প পরিচালক,আকরাম হোসেনের সঞ্চালনায় মশিগশি কার্যক্রমের গীতা শিক্ষিকা সুমী সাহা কর্তৃক পবিত্র গীতা থেকে শ্লোক পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আব্দুর রহমান।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), নেত্রকোণা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে  হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সীতাংশু বিকাশ আচার্য্য,বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি মঙ্গল সাহা,সাতপাই কালিবাড়ি মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক লিটন পন্ডিত,রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, নেত্রকোণার আজীবন সদস্য করুণা সিন্ধু রায়।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি মঙ্গল সাহা তার বক্তব্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে শিশু ও বয়স্কদের ধর্মীয় শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বর্তমান সরকারের প্রশংসা করেন। এবং মহতী এ মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা ও শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মানী প্রদানের বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন। এছাড়া  সীতাংশু বিকাশ আচার্য্য তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে নৈতিক শিক্ষার বিকাশ ঘটছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কাজি আব্দুর রহমান, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বর্ণনা পূর্বক বলেন মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের সুফলকে স্থায়ী রুপ দেয়ার জন্য প্রকল্পে কর্মরত শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এতে করে শিক্ষকগণ আরও আন্তরিক ও মনোযোগী হয়ে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। নিঃসন্দেহে প্রকল্পটি শিশুদের মধ্যে নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি নির্মাণ করে দিচ্ছে এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। প্রকল্পটির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে জেলা মনিটরিং ও উপজেলা মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় মনিটরিং ও সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। 

সভার আলোচকবৃন্দের আলোচনা শেষে ২০২০ সালের নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও ১০ জন শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এছাড়া করোনার কারণে সীমিত পরিসরে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া ও গীতা পাঠ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।