নেত্রকোনা: একই বিছানায় পাশাপাশি শুয়ে ছিলেন মা শরীফা আক্তার ও মেয়ে সাদিয়া আক্তার। দু’জন একসাথে একই বিছানায় শুয়ে থাকার পরও গলা কেটে হত্যার শিকার হন মা শরীফা।
কিন্তু এসবের কিছুই টের পেলো না মেয়ে সাদিয়া!
নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাংসা গ্রামের চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের একটি ঘটনা। এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মনে সঞ্চার হচ্ছে নানারকম প্রশ্ন। আর গোলকধাঁধায় পড়েছে পুলিশ।
নিহত শরীফা সংসার জীবনে ছিলেন কিশোরী মেয়ে সাদিয়া ও রিফাত মিয়া নামে সাত বছর বয়সী এক শিশু সন্তানের জননী। তিন/চার বছর ধরে স্বামী রিপন মিয়া থাকেন প্রবাসে (মালয়েশিয়া)। এদিকে শরীফা’র সাথে কিশোরী মেয়ে থাকলেও শিশু ছেলে রিফাত মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করে।
প্রতিদিনের মত শুক্রবার (২০ আগস্ট) দিনগত রাতে খাবারদাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিল মা-মেয়ে। এরপর পাল্টে যায় সব।
জানা যায়, ভোরবেলায় ঘুম ভেঙে গেলে সাদিয়া তার পাশে নিজের মাকে গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে!
কিন্তু কিভাবে কখন কার হাতে প্রাণ হারালেন মা, পাশাপাশি শুয়ে থেকে কিছুই জানলো না সাদিয়া! তার ভাষ্যমতে নিজের শরীর রক্তে ভিজে ঠান্ডা লাগায় হঠাৎ ঘুম ভাঙে তার। আর তখন দেখতে পায় মা’র গলাকাটা মরদেহ।
এমন ঘটনার পর শনিবার (২১ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে শরীফা‘র মরদেহ উদ্ধার করে নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সদস্যরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডমিন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, মোরশেদা খাতুন (সদর সার্কেল), সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইন-চার্জ খন্দকার শাকের আহমেদ, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সোহেল রানা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হুদা, ত্রিদীপ বীর ও আব্দুল জলিলসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে যান।
এছাড়াও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং ময়মনসিংহ থেকে সিআইডির একটি বিশেষ টিম এসে রহস্য উন্মোচনে মাঠে কাজ করছেন।
এদিকে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী জানান, হত্যাকান্ডটি ভাবিয়ে তুলেছে। রহস্য ভেদ করে ঘটনার কাছে পৌঁছতে কাজ করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সময়ে রহস্য উন্মোচনসহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।"
নয়ন বর্মন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দর্পণ