বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তি ও ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর সুবর্ণ বর্ষে কলকাতায় বাংলাদেশ ভিসা আবেদন কেন্দ্রের উদ্বোধন হলো। আজ ভারতীয় সময় বেলা ১১টায় এই কেন্দ্রের ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণ এবং বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তির এই মাহেন্দ্রক্ষণে কলকাতায় বাংলাদেশ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার উদ্বোধন করতে পেরে আমরা সত্যিই খুব আনন্দিত। এই স্টোরের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় নাগরিকগণ আমাদের উন্নত ভিসা পরিষেবা পাবেন, যা আমাদের দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা ছিল। আমি এই বাংলাদেশ ভিসা সেন্টার স্থাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

কলকাতার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের সিপি ব্লকের ১৫ নম্বর বাড়িতে এ ভিসা আবেদন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। ১৩ হাজার বর্গফুটের এ ভিসা আবেদন কেন্দ্রে প্রতিদিন ৫০০ ভিসাপ্রার্থীর আবেদন গ্রহণ করা যাবে। 

কলকাতায় বাংলাদেশের ভিসাপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের এ দাবি আজ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনে পূরণ হলো। কলকাতায় এত দিন বাংলাদেশ উপহাইকমিশন থেকে ভিসার কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

কলকাতায় বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান এ ভিসা আবেদন কেন্দ্র উদ্বোধনের পর বলেছেন, এখন থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার ভারতীয় ভিসাপ্রার্থীদের আর লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে না। 

বিশাল এ আবেদন কেন্দ্রে ভিসার আবেদন ও বিতরণের জন্য ১০টি কাউন্টার থাকছে। সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে। আর ভিসা বিতরণ করা হবে বেলা একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত। ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে কোভিডবিধি মেনেই।

তৌফিক হাসান আরও বলেছেন, ভিসা আবেদন কেন্দ্রে একযোগে ৫০০ আবেদনকারীর বসার ব্যবস্থা থাকছে। থাকবে এখানে ফ্রি ওয়াই–ফাই। ক্যাফেটরিয়া, নামাজের কক্ষও আছে। আরও থাকছে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংকের একটি কাউন্টারও। ওই কাউন্টারে ভিসা ফি গ্রহণ করার ব্যবস্থা থাকবে। বাংলাদেশ যেতে ভিসা ফি দিতে হবে ৮২৬ রুপি।

উপহাইকমিশনার বলেন, এই সেন্টারে অনলাইনে ফরম ফিলাপ করারও সাহায্যকারী মিলবে। তারা একটি নির্দিস্ট ফি নিয়ে অনলাইনে ভিসা ফরম পূরণ করে তাতে আবেদনকারীর ছবি লাগিয়ে, তা তুলে দেবেন আবেদনকারীর হাতে। তারপর আবেদনকারী ভিসার আবেদনটি যথারীতি কাউন্টারে গিয়ে জমা দেবেন। আর ওই কাউন্টার থেকে তারা ভিসা পেয়ে যাবেন তাদের পাসপোর্টে। 

২০ ডিসেম্বর থেকে এ কেন্দ্রে ভিসার আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা ছাড়া এখন অন্যান্য ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে। তবে বাংলাদেশ সরকার ট্যুরিস্ট ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তখনই এই কাউন্টার থেকে ট্যুরিস্ট ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হবে।

উপহাইকমিশনার আরও বলেছেন, কলকাতার মতো ভারতের আরও পাঁচটি ভিসাকেন্দ্রে অবিলম্বে একই ধরনের ভিসার আবেদন গ্রহণ করার কেন্দ্র স্থাপন করার হবে। এই কেন্দ্রগুলো হবে দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা ও গুয়াহাটিতে।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ