বহু প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞের পর  যুদ্ধ-বিরতি ও দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের দুটি বিষয়কে সামনে রেখে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের গোমেল অঞ্চলে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার ইউক্রেনের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার একটু আগে বেলারুশে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।

সিএনএন জানায়, দুপক্ষের মধ্যে বেলারুশের কোথায় আলোচনা হচ্ছে নিরাপত্তাজনিত কারণে তা গোপন রাখা হয়েছে। তবে, গোমেল অঞ্চলের প্রিপিয়াত নদীর কাছে বৈঠক হচ্ছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়।

ইউক্রেন আগেই এক বিৃবতিতে জানিয়েছিল, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার।

ইউক্রেনের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আলোচনার উদ্দেশে আজ (সোমবার) বেলারুশে পৌঁছায়। ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অলেক্সি রেজনিকভ, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক রয়েছেন।

বেলারুশে পৌঁছানোর পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উভয় দেশের প্রতিনিধিদেরকে বরণ করেন। বেলারুশে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে আশ্বস্তও করেন তিনি।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, তিনি বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজাণ্ডার লুকাশেনকোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তারপর তিনি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন।

যদিও এর আগে বেলারুশে আলোচনায় সম্মত ছিল না ইউক্রেন। কারণ বেলারুশের সঙ্গে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে বেলারুশের সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। তারপর বৃহস্পতিবার পুতিনের সামরিক অভিযান শুরুর পর বেলারুশের সীমান্ত থেকে রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছিল প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তার ভাষ্যমতে, রাশিয়া যদি বেলারুশ ভূখণ্ড থেকে ইউক্রেনে হামলা না চালাত, তাহলে দেশটিতে আলোচনা নিয়ে আপত্তি করতেন না।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ