ঢাকাঃ সে আমাকে কথা দিয়েছিল এবার আইসা বিয়ে করবে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তার সাথে কথা হয়েছিল। আমারে কইছিল, কালা মাইয়া দেইখা রাখো।  এবার অমত করুম না। শেরওয়ানি বদলে সাদা কাফনের কাপড় পইরা আসলো হাদিসুর।


বিলাপ করে শাহজালাল বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের সামনে বসে কথাগুলো বলছিলেন ইউক্রেনে নিহত প্রকৌশলী হাদিসুর রহমানের খালা মমতাজ বেগম। এসময় তার খালা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তার সাথে কান্নায় ভেঙে পড়েন হাদিসের চাচাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার।  
 
তার খালা বলেন, হাদিস আমাকে ফোন করে কয় খালা তুমি জেগে আছো কেন। ঘুমাইয়া যাও তোমার শরীর খারাপ। খালামণি তোমার অবাধ্য হমু না। এবার আইসা বিয়া করুম। বাবারে তুমি শেরওয়ানির বদলে সাদা কাফনের কাপড় পরলি! 

তিনি জানান, হাদিসকে তিনি তার ছেলের মতোই লালন-পালন করেছেন। কখনো বোনের ছেলে বলে মনে করেননি। তারা খালাতো ভাইরা আপন ভাইয় ছিল। এ সময় তার পাশে বসেছিলেন হাদিসের চাচাতো ভাই সোহাগ হাওলাদার। তিনি কান্না করতে করতে বলেন, মরার আগে তার সাথে কথা হয়েছিল। সে জানিয়েছে দেশে এসে এবার বিয়ে করবে। বিয়ে করা হলো না। বিয়ের ১৫ দিন আগে আসার কথা ছিল তার। 

কথাগুলো বলতে বলতে হাউমাউ করে কাঁদছেন সোহাগ। সোহাগ বলেন, তুই কেন জাহাজের উপরে গেলি রে ভাই। 

হাদিসের মরদেহ গ্রহণ করার জন্য হাদিসের ভাই, খালাতো ভাই, খালা, চাচা, চাচাতো ভাইয়েরা বিমানবন্দর এসেছেন। দুপুর ১২টা ৬ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরে হাদিসের মরদেহ নিয়ে টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর একটি বিমান অবতরণ করে।


প্রতিবেদক,বাংলাদেশ দর্পণ