চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পরৈকোড়া ৯নং ইউনিয়নের বাথুয়াপাড়া গ্রামে দৈনিক সমকাল পত্রিকার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুজিত কুমার দাশ এর পৈতৃক ভিটা ও জমি দখল করে মসজিদ ও ব্রীজ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এই বিষয়ে ভুক্তভোগী জানান, ব্রিজ নির্মাণ করার ফলে ব্রীজের পূর্ব পাশে আমাদের ক্রয়কৃত ভিটা ও পশ্চিম পাশে আমার বাবা মায়ের ও দুই কাকা কাকিমার এবং ঠাকুর দাদার নির্মিত পাকা মন্দির রক্ষিত আছে যা তৎকালীন সময়ে ব্রিটিশ আমলে তৈরি।

তিনি আরো বলেন, উত্তর পাশে পূর্বের খাই'র অবস্থান ব্যতিরেকে পশ্চিম, দক্ষিণ, পূর্বে দৈর্ঘ্য ৩৬' প্রস্থ ব্রীজ নির্মাণ করায় আমার পশ্চিম পাশের পৈতৃক শ্মশান এবং ১২ গণ্ডা ফসলি জমি, পূর্বে ক্রয়কৃত ভিটাসহ প্রায় ছয় থেকে সাত কানি জায়গা ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও দক্ষিণ পাশে নির্মিত মসজিদের পুরো জায়গা জুড়ে আমার পৈতৃক দখলীকৃত পুকুরের পূর্ব পাশে পাড়ের প্রথমে সীমানার উত্তর-দক্ষিণ টিনের চালা দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

সুজিত কুমার বলেন, কর্মব্যস্ততার কারণে শহরে বসবাস করি। এই সুযোগে উক্ত এলাকায় বসবাসকারী কথিত আব্দুল বায়েস প্রকাশ হাঁস মৌলভির সহযোগিতায় আবদুল মালেক সওদাগর, আবদুল গফুর, আবদুল আলিম, ছেলে আবদুল কাইয়ুম, মোঃ জিসান, মোঃ ইয়াছিন প্রকাশ বাবু, মোঃ সাইফুল ইসলাম, পিতা মোঃ নাজিম ঘরজামাই সাবেক ভিংরোল ও আব্দুল বায়েস প্রকাশ হাঁস মৌলবির ছেলে মোঃ জিয়া, মোঃ আরিফ, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ হাবিব উল্লাহ, মোঃ আতিকুল্লাহর প্রতক্ষ্যমদদে আমার পূর্ব পুরুষদের পৈতৃক চিতা শ্বশানের জায়গা দখল করে মসজিদ নির্মান করে। শুধু  শ্বশ্মান দখল করে ক্ষান্ত হন নি, ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন ফলজ গাছ কেটে নির্মান করা হচ্ছে ব্রীজ।

এছাড়াও বর্তমানে পুকুর দখল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মামুনুর রশিদ আশরাফকে জনিয়েও কোন সুবিচার পায়নি বলে জানান সমকাল পত্রিকার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুজিত কুমার দাশ। এদিকে আনোয়ার থানার ওসি কে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে  তিনি বলেন, আমরা এমন কোন অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিব।

সমকাল পত্রিকার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সুজিত কুমার দাশ পৈতৃক ভিটা ভূমিদস্যুদের থেকে রক্ষার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশদর্পণ.কম