কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় এক সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারে উপর হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর পৌর এলাকার ধুলজুরি গ্রামের স্বর্গীয় স্বপন চন্দ্র ভৌমিকের বিধবা স্ত্রী দিপালী রানীর সাথে পাশের বাড়ির ফেরদৌস মিয়ার সাথে পাওনা টাকা নিয়ে বহুদিন ধরে বিরোধ চলছিল।

গত শনিবার (২৩ মে) দুপুরে দিপালী রানী পাওনা টাকা চাইতে গেলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঝগড়া বাধে। এ সময় প্রভাবশালী ফেরদৌস মিয়া গং ওই অসহায় বিধবার পরিবারের উপর লাঠিসোটা নিয়ে বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় বিধবা দিপালী রানী ও তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে সেতু রাণী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। 

ওই দিন রাতেই দিপালী রানী বাদি হয়ে হোসেনপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

হোসেনপুর থানায় লিখিত অভিযোগের পর থেকেই প্রভাবশালী ফেরদৌস মিয়া গং'রা নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে পরিবারটিকে। উক্ত পরিবারটি এখন মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানা যায়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও হিন্দু মহাজোটের স্থানীয় শাখার নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা জানান, যেকোন মুহুর্তে পরিবারটির উপর আবারো সাম্প্রদায়িক হামলা হতে পারে।

হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোস্তাফিজুর রহমান সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের উপর উক্ত হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অর্জুন কর্মকার, নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশদর্পণ.কম