চট্টগ্রাম: টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজেলাটির দক্ষিন পশ্চিমে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে নাফ নদী ও মায়ানমার সীমান্ত এবং উত্তরে পাহাড় নিয়ে গঠিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান হিসেবে টেকনাফের সুখ্যাতি রয়েছে।

পর্যটকদের আনন্দে ঘেরা এ টেকনাফে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় গোলাপী-হলুদ ইয়াবা। এ কারণে নগরী পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র হলেও আতঙ্কে ভরে থাকে সাধারণ মানুষ। পর্যটন খাতের একটা বড় অংশের আয় ব্যহত হয় এ ইয়াবার কালো গ্রাসের জন্য। এখান থেকে ইয়াবার আঁতুর ঘর শুরু হয় যার ফলশ্রুতিতে পুরো দেশে তা ছড়িয়ে যায় এবং ধ্বংস করে দেয় শিক্ষিত যুব সমাজ। এ নিয়ে সবসময়ই তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিণী। বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয় মাদকপাচারকারীরা বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিণীর হাতে। এরপরেও মাদককারবারীদের আনাগোনা থেমে নেই, তবে ইয়াবা পাচান আগের চেয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিণীর সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠায়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ এ ব্যাপারে বলেন, একটা সময় ছিল টেকনাফ মানেই ইয়াবার আঁতুর ঘর। মানুষের গায়ে লেগে থাকত ইয়াবার গন্ধ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানে টেকনাফ থেকে প্রায় ৯০ ভাগ ইয়াবা ব্যবসা নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে।খুব শীঘ্রই এই টেকনাফকে মাদকমুক্ত করা হবে। তাই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযানের পাশাপাশি টেকনাফের পৌর শহরকে সাজাতে  ও ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ প্রাঙ্গনে সৌন্দর্য বর্ধন করতে বাহারি ফুল গাছের চারা রোপন করা হয়েছে।যাতে মাদকের গন্ধে নয়, ফুলের গন্ধে টেকনাফের মানুষের ঘুম ভাঙ্গে। খুব শীঘ্রই এই টেকনাফ থেকে মাদকের বদনাম মুছে যাবে। পর্যটন নগরীতে নিজের স্বকীয় দাপটে পরিচিত হবে আগামীর ভ্রমনপিয়াসুদের চিত্তবিনোদনের  টেকনাফ।

এছাড়া টেকনাফ মডেল থানায় গেলে দেখতে পাওয়া যাবে পুলিশ কোয়ার্টার প্রাঙ্গনে অবস্থিত ঐতিহাসিক মাথিনের কূপ। নিবিড় প্রেমের সাক্ষী এই কূপটি  কলকাতার পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্টাচার্জের সঙ্গে টেকনাফের জমিদার ওয়ানথিনের একমাত্র কণ্যা মাথিনের ।নেটং পাহাড় যেটা টেকনাফ শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে,  সেখানে দেখতে পাওয়া যাবে সবুজ শ্যামল হরেক রকম গাছের সারির অপরুপ দৃশ্য । পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে দেখা যাবে নাফ নদী ও মায়ানমারের পাহাড়ের সারি সারি দৃশ্য।

জনি বিশ্বাস, নিজস্ব প্রতিবেদক | বাংলাদেশদর্পণ.কম