সাংবিধানিকভাবে দেশের সনাতনী সম্প্রদায়কে সংখ্যালঘু স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে সনাতন কল্যাণ জোট, বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও হিন্দুধর্ম সুরক্ষা পরিষদ নামের তিনটি সংগঠন।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্যে সনাতন কল্যাণ জোটের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় স্বীকৃতিপ্রাপ্তির মাধ্যমে যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা তা থেকে বঞ্চিত।’ তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে সংখ্যায় যারা কম, তারা সংখ্যালঘুর স্বীকৃতি ও সুবিধা ভোগ করতে পারলে বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন পারবে না?’

শ্যামল ঘোষ আরও বলেন, ভারতে সাড়ে ১৪ শতাংশ মুসলমানদের জন্য সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয়, পার্সোনাল ল বোর্ড, সংখ্যালঘুসংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সুবিধা রয়েছে।

অথচ এ দেশে মোট জনসংখ্যার সাড়ে ৮ শতাংশ হিন্দু হয়েও তাঁরা সংখ্যালঘুসংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।

মানববন্ধনে এক লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, দেশে সম–অধিকার তো দূরের কথা, হিন্দুদের কোনো অধিকারই নেই। বাজেটে হিন্দুদের প্রতি চরম বৈষম্য করা হয়।

সরকার মুসলিমদের জন্য প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ করে দিলেও হিন্দুদের জন্য কোথাও একটি মডেল মন্দির করা হয়নি। অর্পিত সম্পত্তি আইনের বেড়াজালে আটকে আছে হিন্দুদের প্রায় ৬৫ লাখ একর ভূমি। দেবোত্তর সম্পত্তিগুলো উদ্ধারে নেই কোনো পদক্ষেপ। সংখ্যালঘুদের জন্য নেই কোনো মন্ত্রণালয়, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন। জাতীয় সংসদসহ কোথাও আলাদা কোটা নেই হিন্দুদের জন্য। 

মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যালঘু ঘোষণার মাধ্যমে তাদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করা হয়।

প্রতিবেদক, বাংলাদেশ দর্পণ