দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার রামপুর গ্রামের বাসন্তী দাসের জমি দখলকে কেন্দ্র করে গত ১২ই সেপ্টেম্বর রাঁতের আধারে উক্ত গ্রামের দাস পাড়ার কালী প্রতিমা ভাংচুর করেছে দূর্বৃত্তরা।

কাহারোল উপজেলার ভারপ্রাপ্ত এসিলেন্ট মনিরুল হাসানের নির্দেশে কাহারোল থানার পুলিশ, কাহারোলের ৩নং মুকুন্দ পুর ইউপি রামপুর গ্রামের বাসন্তী দাসের স্বামী-মৃত রমেশ চন্দ্র দাসকে গত ১২ নভেম্বর রামপুর কালী মন্দির সংলগ্ন ১ নং খাস জমি দখল দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চলে যাবার পর পরই বাঁশের খুটি ও নেট দিয়ে দাস পাড়ার রাস্তা বন্ধ করে দেয় একই গ্রামের ১। মোঃ হাইজদ্দীন, ২। মোঃ ময়েজদ্দীন ও ৩। মোঃ মোক্তার আলী ওরফে বলদিয়া। সকলের পিতাঃ অজ্ঞাত। আর এ ঘটনা থানায় অবগত করায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ রাস্তা বন্ধের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঐদিনই রাতের আঁধারে উল্লেখিত রামপুর কালী মন্দিরে সবার অজ্ঞাতে ভাংচুর হয়েছে।

পরেরদিন ১৩ নভেম্বর কালী মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুেরর অবস্থা সকলের নজরে পড়ে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হলে কাহারোলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মনিরুল হাসান,দিনাজপুর ১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, কাহারোলের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথ, সম্পাদক সুকুমার রায়,হিন্দু মহাজোট দিনাজপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন রায়,বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ দিনাজপুর শাখা ও বাংলাদেশ মাইনিরিটি ওয়াচ BDMW দিনাজপুর প্রতিনিধি,৩ নং মুকুন্দপুর ইউ,পি চেয়ারম্যান মোঃ ফারুকসহ কাহারোল থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থল প্রত্যক্ষ করেন।

তাদের নির্দেশে ভাংচুর প্রতিমা বিসর্জন দিলে কাহারোল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজেন্দ্র দেবনাথ নতুন প্রতিমা প্রদান করেন এবং সেই প্রতিমায় রামপুর দাস পাড়ার লোকজন কালী পূজা সম্পন্ন করেন। এই ঘটনায় কাহারোল থানা পুলিশ মোঃ মোক্তার আলী ওরফে বলদিয়া-কে গ্রেপ্তার করলেও অজ্ঞাত কারণ বশতঃ পরেরদিন ছেড়ে দেয়।