সম্প্রতি আল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবির গান কিংবা ডায়ালগ অনুকরণ করতে দেখা গিয়েছে একাধিক নেটিজেনকে। তবে এবার পুষ্পার আদলে লাল চন্দন পাচারের চেষ্টা করলো এক ব্যক্তি। তবে পুষ্পার মতো মসৃণ কায়দায় কাজ হাসিল করতে পারেনি সে। মহারাষ্ট্রের পুলিশের হাতে ধরা পড়লো পাচারকারী। ওই পাচারকারীর নাম ইয়াসিন ইয়ানাতুল্লাহ। খবর এই সময়ের।
প্রতিবেদনে বলা হয়, একেবারে ফিল্মি কায়দায় কর্নাটক অন্ধ্রপ্রদেশের সীমান্ত থেকে মহারাষ্ট্রে ওই বিপুল পরিমাণ চন্দন কাঠ নিয়ে আসছিল সে। সাংলি এলাকার মিরাজ নগর থেকে গান্ধি চকে ঢোকা মাত্রই সে ধরা পড়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই চোরাকারবারির হেফাজত থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকার লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ছবির খুঁটিনাটি তথ্য ব্যবহার করে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্র অবধি ওই বিপুল পরিমাণ কাঠ নিয়ে চলে এসেছিল বাস্তবের পুস্পারাজ। কিন্তু মহারাষ্ট্রে নাকা চেকিংয়ের দরুন ধরা পড়ে যায় সে।
পুস্পা ছবিতে বুদ্ধির জোরে মজুর থেকে মাফিয়া হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে আল্লু অর্জুনকে। কখনও কোটি কোটি টাকার কাঠ নদীতে ভাসিয়ে, কখনও আবার তা হৃদে ফেলে দিয়ে পুলিশের হাত থেকে বেঁচেছিল ছবির নায়ক পুস্পা। অন্যরা ফল কিংবা ফুলের আড়ালে কাঠ পাচার করতো। ফলে তারা সহজেই ধরা পড়ে যেতো। কিন্তু পুস্পা লরিতে প্রথমে লাল চন্দন কাঠ ভরে দিতো। এরপর কায়দা করে দুধ ভর্তি করে দিতো ট্রাকে। তবে বাস্তবের পুস্পারাজ কিন্তু আরও এক কদম এগিয়ে গিয়েছিল। সে কায়দা করেছিল অন্য জায়গায়।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক করা ট্রাকটির বাইরের দিকে বড় বড় ফল এবং সবজির বাক্স দিয়ে ভরানো হয়েছিল। বাইরে সেঁটে দেয়া হয়েছিল কোভিড-১৯ এসেনশিয়াল প্রোডাক্ট স্টিকারও। তার এই বুদ্ধি কাজেও লেগে যেতো। তবে তীরে এসে তরী ডুবে গেলো এবার। পুলিশের জালে ধরা পড়লো রিয়েল লাইফ পুস্পা।
প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুন ছড়িয়েছে পুস্পা। ডায়ালগ থেকে গান, সবকিছুরই রিল ভাইরাল। কেউবা অন্তাভারের তালে কোমর দোলাচ্ছেন, কেউ নাচছেন শ্রীভাল্লি গানে।