নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারের একটি দোকানের ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটনায় সবুজ মিয়া নামে এক যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

 

পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বিস্ফোরিত একটি ‘মর্টার শেল’। বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক জেলাসহ ঢাকা থেকে দুর্গাপুর এসে মাঠে নামে ঊর্ধ্বতন চৌকস কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।

 

ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ শুরু করেন ইউনিট সদস্যরা। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ চলছে, আশা করা যাচ্ছে অনুসন্ধানে খুব দ্রুত প্রকৃত ঘটনা জানা সম্ভব হবে।কথোপকথনে এমনই সব কথা জানিয়েছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ।

 

মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল তথা দুর্গাপুর শিবগঞ্জ বাজারের দোকানঘরটি পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের এই পুলিশ প্রধান।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- নেত্রকোনা জেলা পুলশ সুপার (এসপি) মো. আকবর আলী মুনসী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, মনিরুল ইসলাম (অপরাধ), সহকারী পুলিশ সুপার (দুর্গাপুর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইন-চার্জ শাহ্ নূর এ আলম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান প্রমুখ।

 

উল্লেখ্য, রোববার (৩১ আগস্ট) দিনগত রাত ১২ টার দিকে ভারত সীমানা ঘেঁষা নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার শিবগঞ্জ বাজারের মসজিদ মার্কেটে একটি দোকানঘরে হঠাৎ-ই বিকট শব্দে কিছু যেন বিস্ফোরিত হয়।

 

কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায় কাঞ্চন মিয়ার দোকান ঘরের একপাশে ভেঙে গেছে দেয়াল আর দূরে উড়ে গিয়ে পড়েছে শাটার! দোকানঘরের ভিতরে রক্তাক্ত নিথর দেহে পড়ে আছে রিক্সা মেরামতকারী যুবক সবুজ মিয়া। সে দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের চলিতাপাড়া গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে। 

 

তার দেহের একটি হাত কব্জি থেকে বিছিন্ন এবং মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত! এ ঘটনায় আহত নাহিদ নামে আরও এক যুবককে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। কারণ খুঁজে বের করতে তাকে জেরা করা হচ্ছে।

 

 

নয়ন বর্মন, নেত্রকোনা প্রতিনিধি|বাংলাদেশদর্পণ.কম