নেত্রকোণা: নেত্রকোণায় একদিনে ভারতীয় সীমান্তে একই পরিবারের আটজনসহ জেলায় কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে ১৮ জন। এদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী রয়েছেন।
সদর উপজেলায় পৌরশহরে চারজন, দুজন করে আটপাড়া ও বারহাট্টা উপজেলায়, মোহনগঞ্জে রয়েছেন একজন এবং ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত উপজেলা দুর্গাপুরে রয়েছেন নয়জন। এই নয়জনের মধ্যে শিশুসহ একই পরিবারের আটজন রয়েছেন এবং তারা সকলেই দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের আলমপুর এলাকার বাসিন্দা। আরেকজন হলেন দুর্গাপুর পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডের ৫০ বছর বয়সি বাসিন্দা এক মসজিদের ইমাম।
রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় দিকে নেত্রকোনার সিভিল সার্জন ডা. মো. সেলিম মিঞা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. তানজিরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ জুন (শনিবার) উপজেলার আলমপুর গ্রামে মা ও মেয়ে নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ সনাক্ত হন। পরে রবিবার ওই পরিবারের নয়জনের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। রাতে ওই পরিবারের ছয় বছরের এক শিশুসহ আটজন সনাক্ত হন। এছাড়াও পৌরশরের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি এক ইমাম রয়েছেন সনাক্তের তালিকায়।
তিনি আরো বলেন, গত মাসে উপজেলায় সনাক্তকৃত রোগীর ছিল দুজন। চলতি মাসে ২০ জুন পর্যন্ত এর সংখ্যা ২৫ জনে। আর গত সাতদিনে সনাক্তের সংখ্যা ২৩ জনে।
জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের ইউএনও মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান ও কলমাকান্দার ইউএনও মো. সোহেল রানা রাতেই নিজ নিজ উপজেলায় কঠোর বিধি নিষেধের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই উপজেলায় ঔষধের দোকান ব্যতিত ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা ও অন্যান্য এলাকায় ৭টার মধ্যে অন্য সব দোকানপাট বন্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধসহ কাঁচা বাজারসমূহ উন্মুক্ত স্থানে স্থানান্তর করে ক্রয়-বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। এ বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে এবং এই নির্দেশনা ২০ জুন থেকেই কার্যকর হবে।
নয়ন বর্মন, নেত্রকোণা প্রতিনিধি